ওবাইদুল ইসলাম,গাইবান্ধা।। গাইবান্ধা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মতলুবর রহমান বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৩৯৮ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আনওয়ার-উল-সরওয়ার (রেল ইঞ্জিন) প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৭০ ভোট। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ৩০১ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শামছুল আলম (মোবাইল ফোন) প্রতীকে ২ হাজার ৬৬৯ ভোট। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ আহসানুল করিম (চামুচ) প্রতীকে ১ হাজার ৯৭৪ ভোট।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক আহমেদ (ক্যারাম বোর্ড) প্রতীকে ১ হাজার ৬৯২ ভোট। বিএনপির দলীয় প্রার্থী মোঃ শহিদুজ্জামান শহীদ (ধানের শীর্ষ) প্রতীকে ৯১৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মির্জা হাসান (জগ) প্রতীকে ৩৭৩ ভোট পেয়েছেন।
অপরদিকে গাইবান্ধা পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের পূর্ব কোমরনই ভোট কেন্দ্রে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে নির্বাচন সংক্রান্ত সৃষ্ট জটিলতায় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসী। এসময় সরকারি ৪ টি গাড়ীতে তারা আগুন লাগিয়ে দেয়।এলাকাবাসীর তান্ডব প্রায় ১ ঘন্টা পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ঘটনায় পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ১০জন সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি ৪৭ জনের নামে মামলা করেন পুলিশ। যার নম্বর-২৫। অপর দিকে একই ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে ৪১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। যার নম্বর-২৪। গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাহফুজুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গাইবান্ধা পৌরসভার নির্বাচনে সংঘর্ষ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িতে আগুন ও ম্যাজিষ্ট্রেটের গাড়ি ভাংচুর।। শর্টগানের গুলি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি।। গাইবান্ধা পৌরসভার পূর্ব কোমরনই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ব্যালট গননা নিয়ে উত্তেজিত জনতার সাথে আইন শৃংখলা বাহিনীর এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উত্তেজিত জনতার সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় জনতা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং ম্যাজিষ্ট্রেটের একটি গাড়ি ভাংচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন শৃংখলা বাহিনী অন্তত ৫০ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ভয়ে আশপাশের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুর রহমান সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
আমাদেরবাংলাদেশ.কম/সিয়াম